মেদ, ভুঁড়ি ও অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পেতে…

ত্বক (Skin) ও কাঠামোগত (Structure) সৌন্দর্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত হলেও স্মার্টনেস শুধুই নিজের চর্চার উপর নির্ভরশীল। স্মার্টনেসের কাছে ত্বকের সৌন্দর্য গৌণ। সালমান, শাহরুখ ও আমিরের চেয়েও অস্থির পোলাপান আমাদের চারপাশে আছে। যারা স্মার্ট হয়ে উঠলে মিস ওয়ার্ডলরাও তাদেরকে দেখে দিব্যি ক্রাশ খাবে। স্মার্ট যে কেউ হতে পারে এবং একজন স্মার্ট ছেলে বা মেয়েকে যে কেউ পছন্দ করে, হোকনা সে সাদা বা কালো। আর স্মার্ট হওয়ার জন্য মাসল বা সিক্স পেকের কোন প্রয়োজন নেই। ভুঁড়ি হীন সুস্থ একটি শরীর থাকলেই স্মার্ট হওয়া যায়। বারাক হুসাইন ওবামাই তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। ওবামা একজন নিগ্রো, তাঁর কোন মাসল ও সিক্স পেক নেই। তারপরেও তিনি স্মার্ট ও সৌন্দর্যের প্রতীক।

শরীরে অতিরিক্ত মেদ চর্বি জমা হলে ও মাত্রাতিরিক্ত ভুঁড়ি বেড়ে গেলে শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যহত হয়। বিশাল বড় ভুঁড়ি থাকলে কখনোই স্মার্ট হওয়া যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক মেদ, ভুঁড়ি ও চর্বি থেকে মুক্তি পেতে কিছু করণীয়:
১) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত: গবেষণায় দেখা গেছে, নামাজ একটি সর্বোত্তম শারীরিক ব্যয়াম। সঠিক নিয়মে সালাত আদায় করলে শারীরিক ব্যয়াম চর্চা হয়ে যায়। বিশেষ করে রুকু ও সিজদা ভুঁড়ির জন্য খুবই উপকারী। এমনভাবে রুকু করতে হবে যাতে পিটের উপর পূর্ণ এক-গ্লাস পানি রাখলে এক ফোটা পানিও বাইরে না পড়ে। (নামাজে দু’রুকু ও দু’সিজদার মাঝখানে বিরতি দিয়ে দাঁড়ানো ও বসা ওয়াজিব)।
২) লেবু পানি: লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। লেবু ভুঁড়ি কমাতে অতিমাত্রায় সহায়ক। প্রতিদিন সকালে এক-গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি সম্পূর্ণ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। তবে কোন চিনি মেশানো যাবে না। কারণ চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আর ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলেই ভুঁড়ি হুডমুডিয়ে বাড়তে থাকে।
৩) শারীরিক ব্যয়াম: হ্যান্ডসাম ফিগারের জন্য শারীরিক ব্যয়ামের কোন বিকল্প নেই। সকালবেলা আধা-ঘণ্টা হাঁটলে শরীরের মেদ-চর্বি দ্রুত ঝরে যাবে। তবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে হাঁটলে তাতে কোন ফাইদা নেই। এমনভাবে হাটতে হবে যাতে মোটামুটি পরিশ্রম হয়।
হাঁটার বা দৌড়ানোর সময় নিশ্বাস মুখ দিয়ে না ফেলে নাক দিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার হাঁটুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট দৌড়লে, এক ঘণ্টা হাঁটার সমান ফজিলত পাওয়া যায়।
এছাড়াও দু-চার-পাঁচ টাকা ভাড়ার পথ বাসে না চড়ে হেঁটেই যাবেন। এভাবে ছোট-খাট পথ হেঁটে গেলে শরীরের বাড়তি ক্যালরি অনায়াসে ঝরে যাবে।

বাসায় বা অফিসে উঠার সময় লিপ্ট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় একটু গতি বাড়িয়ে হাঁটুন।
পড়া-লেখা করার সময় বা কম্পিউটারে কাজ করার সময় শরীরের সাথে কম্প্যাটিবল চেয়ার ব্যবহার করুন ও সোজা হয়ে বসুন। অফিসে কাজ করার সময় দীঘ সময় বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে একটু হাঁটুন প্রয়োজনে বাথরুমে গিয়ে একটু ব্যয়াম করে আসুন (যাতে কেউ না দেখে)।
৪) পরিমিত খাবার: তিন বেলা পরিমিত খাবার খেতে হবে। সকাল বেলা একটি ডিম অথবা ছোলা খাওয়া যাবে। চা খেতে হবে চিনি ছাড়া অথবা অল্প চিনি দিয়ে। চিনির পরিবতে সবখানে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
দুপুরে এক-প্লেট ভাত ও তরকারি। লাল চালের ভাত সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এক-প্লেটের বেশি নয়। খাবারে যেন শাক-সবজির প্রাধান্য থাকে। অনেকে বেশি ভাত  খেয়ে ফেলেন যা ভুঁড়ি বাড়াতে সহায়ক। তাই ভাত খাওয়ার আগে একটা বা দুটি আস্ত শসা খেয়ে নিন যাতে ভাত কম খাওয়া যায়। আর শসা এমনিতে পেটের মেদে-চর্বির কেটে ফেলে। তাই দৈনিক শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
সন্ধ্যায় একটা রুটি বা কয়েকটা বিস্কিট ও রঙ চা খাওয়া যায়। রাতে খুবই অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। সম্ভব হলে খাওয়ার পরে ঠক দই খাবেন।
ভাত খাওয়ার মাঝে বারংবার পানি খাওয়া মোটেও ভাল অভ্যাস নয়। খাবার শুরুতে অল্প পানি খেয়ে নিবেন ও খাবার শেষে পানি খাবেন। মাঝখানে পানি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
খিদে লাগলেই অল্প পরিমাণে নাস্তা করুন। তবে সেই নাস্তা যাতে তেলে ভাজা নাস্তা না হয়। বিশেষ করে ফাস্টফুড শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক। যতটুকু খিদে ঠিক ততটুকুই খাবেন।  অতিরিক্ত খাওয়া যেমন ক্ষতিকর তেমনি না খেয়ে থাকাটাও ক্ষতিকর।
সারাদিন ঘন ঘন পানি পান করুন। পানি মেদ কমাতে প্রচুর সহায়ক। সম্ভব হলে পানিতে লেবু ও আদার রস মিশিয়ে নিন।

৫) বাদাম: বাদামের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মত নয়। বাদামে ভিটামিন-ই থাকে। বাদামও পেটের মেদ কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই দৈনিক নাস্তার তালিকাই বাদাম রাখতে পারেন।
৬) সাঁতার: সাঁতার একটি পরিশ্রমের কাজ যেখানে হাত, পা ও শরীরের অন্য সব অঙ্গ মুভমেন্ট করতে হয়। দৈনিক সাতারে দ্রুত মেদ কমতে পারে।

Comments

  1. In this fashion my pal Wesley Virgin's story launches in this SHOCKING AND CONTROVERSIAL VIDEO.

    As a matter of fact, Wesley was in the military-and shortly after leaving-he revealed hidden, "SELF MIND CONTROL" tactics that the government and others used to get whatever they want.

    As it turns out, these are the EXACT same secrets lots of famous people (notably those who "became famous out of nothing") and elite business people used to become rich and successful.

    You probably know how you only use 10% of your brain.

    That's because most of your brain's power is UNCONSCIOUS.

    Perhaps this thought has even occurred IN YOUR own head... as it did in my good friend Wesley Virgin's head about 7 years back, while driving an unlicensed, beat-up garbage bucket of a car without a driver's license and with $3.20 on his bank card.

    "I'm absolutely frustrated with living paycheck to paycheck! Why can't I turn myself successful?"

    You've been a part of those those conversations, am I right?

    Your success story is going to be written. Go and take a leap of faith in YOURSELF.

    CLICK HERE TO LEARN WESLEY'S METHOD

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

যেভাবে আরবি টাইপ করতে হয়...

গুণ করার সহজ পদ্ধতি - AWESOME MATH MAGIC - ক্যালকুলেটর ছাড়া সহজ পদ্ধতিতে গুণ

Photoshop CC Layer Mask and Brush - Saiful bin A Kalam Bengali Tutorial